ইসমাইল ইমন চট্টগ্রাম মহানগর প্রতিনিধিঃ

সীতাকুণ্ডের হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি জনগণের সাথে তামাশা

সীতাকুণ্ডের বিএম কন্টেইনার ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণে হতাহতের ঘটনায় রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা না করে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এই সময়ে গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি করে সরকার জনগণের সাথে তামাশা করেছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি’র আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।

তিনি বলেন, ৫০ জনের অধিক মানুষ মারা গেলো অথচ রাষ্ট্র, সরকার নিশ্চুপ নির্বিকার। সরকারের উচিত ছিলো নিহত মানুষের স্মরণে রাষ্ট্রীয়ভাবে শোক ঘোষণা করা এবং রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে নিহত আহতদের সমবেদনা জানানো ও তাদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। সরকার সেটা করে নাই। কারণ এই সরকার জনগণের ভোটের সরকার নয়। তারা লিপ সার্ভিসে ব্যস্ত, মুখের কথায় ব্যস্ত, তারা জনগণের কল্যাণে কোনো কাজ করে না। বিএনপি জনগণের দল হিসাবে তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির পক্ষ থেকে হতাহতদের সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে। তিনি এই বিস্ফোরণের ঘটনায় দেশের স্বনামধন্য কেমিস্টদেরকে নিয়ে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি করার দাবী জানান।

তিনি সোমবার (৬ জুন) দুপুরে সিতাকুন্ডের বি এম কন্টেইনার ডিপোর ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনকালে এসব কথা বলেন। তার সাথে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

ডা. শাহাদাত বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কন্টেইনার ডিপোর আশেপাশের এলাকায় এখনো বাতাসে লাশের গন্ধ। এখানে পরিবেশ দুষন হচ্ছে। এলাকার মানুষ অসহায়ভাবে দিন যাপন করছে। এর আগে পুরান ঢাকায়ও কেমিকেল ফ্যাক্টরিতে আগুন লেগে মানুষ হতাহত হয়েছিল। বিএম ডিপোতে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড, অক্সিজেন ও সালপার ছিল। এখন আমাদের আশঙ্কা, এই সালপারের সাথে মিশ্রণ হয়ে যদি এসিড বৃষ্টি হয় তাহলে মরার উপর খাড়ার ঘা হবে। তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হতাহতদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আহবান জানান।

এসময় আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আজকে চট্টগ্রামে লাশের মিছিল, সেই লাশের মিছিল দেখে কোনো বিবেকবান মানুষ ঠিক থাকতে পারে না। সিতাকুন্ডের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় এখনো ধোয়া বের হচ্ছে। আশেপাশের এলাকার বাড়ীঘর, মসজিদ ভেঙ্গে গেছে বিস্ফোরণের কম্পনের কারনে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ এখনো প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। নিহত এবং আহতদের যে সংখ্যা সরকারীভাবে বলা হচ্ছে তা আরো অনেক বেশী হবে।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে একের পর এক কলকারখানায় দুর্ঘটনা ঘটছে, অগ্নিকান্ড ঘটছে। এসব অগ্নিকান্ডের পর কিছু হৈচৈ হয়, বিবৃতি হয়, প্রধানমন্ত্রী শোক দেয় তারপরে সব চুপ, সব বেমালুম ভুলে যায়। তদন্ত কমিটি হয়, সেই তদন্ত কমিটির রিপোর্ট আলোর মুখ দেখে না অদৃশ্য কারণে, অদৃশ্য সুতার টানে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, উত্তর জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য কাজী সালাউদ্দিন, সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব কাজী মহিউদ্দিন, সীতাকুণ্ড পৌর বিএনপি’র সদস্য সচিব সালেহ আহমেদ, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কৃষকদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম বদরুল, উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি মো. মোরসালিন, বিএনপি নেতা মো. শামসুদ্দোহা, নুরুল ইসলাম মেম্বার, রবিউল হক, আলাউদ্দিন মাসুম, উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ সভাপতি ইরফানুল হাসান রকি, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব খোরশেদ আলম মেম্বার, উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি কাজী সেলিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক শাহেদুল ইসলাম প্রমুখ।